০১ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৫৭:০৯ পূর্বাহ্ন


প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে মরক্কো
ট্রেন্ড ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০২২-১২-১০ ২৩:৫০:০৪
প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে মরক্কো


উড়তে থাকা পর্তুগালকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে মরক্কো। আরব বিশ্বের প্রথম কোনও দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার পর এবার পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে দলটি। এর মাধ্যমে প্রথম আফ্রিকান ও আরব দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে মরক্কো।

দ্বিতীয় রাউন্ডে সুইজারল্যান্ডকে ছয় গোল দেওয়া পর্তুগাল ফেভারিট হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটি খেলতে নামে। তবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছে মরক্কো। বুঝিয়ে দিয়েছে, ইউরোপের ফুটবলের চেয়ে কোনও অংশে কম যায় না আফ্রিকার গতি ও শক্তির ফুটবল।

ম্যাচের ৪২ মিনিটেই ইউসুফ এন নেসিরির গোলে এগিয়ে যায় মরক্কো। ১-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই খেলায় ফিরতে পর্তুগাল দলে দুই পরিবর্তন। মাঠে নামে রোনালদো ও ক্যানসেলো। ইউরোপিয়ানদের খেলায় গতি ফেরে। চলে মুহুর্মুহু আক্রমণ। তবে গোল হয়নি। কখনও ইয়াসিন বুনোর অতিমানবীয় সেভ কখনও বল চলে যায় বার ঘেঁসে।

পর্তুগালের সবচেয়ে বড় সুযোগ আসে ৬৪ মিনিটে। ব্রুনো ফার্নান্দেসের নেওয়া শটটি উড়ে যায় বারের কিঞ্চিৎ ওপর দিয়ে। ৮৩ মিনিটে আবারও বুনোর অতিমানবীয় সেভ। জোয়াও ফেলিক্সের নেওয়া জোরালো শটটি হাত লাগিয়ে বাঁচিয়ে দেন। শেষ দিকে রোনালদো ও পেপে আক্রমণ করলেও জালে জড়ায়নি বল।

এই সফলতার পেছনে যার কৃতিত্ব সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন দেশটি কোচ ওয়ালিদ রেগ্রাগু। চলতি বছরের আগস্টেই জাতীয় দলের দায়িত্ব পান এই কোচ। চার মাস আগে তাকে যখন বসনিয়ান কোচ ভাহিদ হালিহোডজিচের জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় তখন মরক্কোর ফুটবল পণ্ডিতরা এই নিয়ে উপহাসও করেন। কিন্তু সব উপহাস উড়িয়ে নিজ দলকে গোছান তিনি।

আর এতেই সফলতা। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ড্র। আর বেলজিয়াম ও কানাডাকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নেয়। রাউন্ড অব সিক্সটিনে মরক্কানরা লেখে রূপকথা। স্পেনকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় দলটি। কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালকে হারিয়ে পা দেয় সেমিফাইনালে। এর আগে চার বার বিশ্বকাপে খেললেও একবার শুধু দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পেরেছিল মরক্কো। সব সমালোচনার কড়া জবাব দিয়ে ৪৭ বছর বয়সী এই কোচই এখন মরক্কোর হিরো।

তিনি বলেছিলেন, আমি মনে করি, আমার দল অনেক দূর যাবে। কেন আমরা বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখবো না। আমরা চাই, পরবর্তী জেনারেশনও যেন এমন দুঃসাহসী স্বপ্ন দেখে।

তার কথা মতো, স্বপ্ন দেখার দুঃসাহস দেখিয়ে মরক্কো ইতিহাস রচনা করলো কাতারে।